জোনাকিদের বাড়ি একটা বাড়ি, যেখানে অনেক অনেক জোনাকি উড়তো রাতের বেলায় আর যেটাকে সবাই জোনাকিদের বাড়ি বলে জানত, সেখানে থাকত কাজু। সময়ের সঙ্গে সেই বাড়িটা ক্রমশ হয়ে ওঠে সবার কাঙ্খিত লক্ষ্য। ওই বাড়ি ও তার সঙ্গে জমি ও তাতে প্রমোটিং নিয়ে ঘনিয়ে উঠে দ্বন্দ্ব। তাতে এসে পড়ে সমাজের নানা স্তরের মানুষ। এসে পড়ে, এসে পড়ে লোভ ঈর্ষা ও হিংসা।
এই বৃহত্তর ঘটনার সঙ্গে এই গল্প বুনে চলে ব্যক্তিগত জীবনের নকশাও। তাতে আমরা দেখি নোঈকে। দেখি তার মন খারাপ কাটিয়ে নিজের পায়ে দাঁড়ানোর গল্প। দেখি আইকার অন্তদ্বন্দ্ব থেকে বেরিয়ে আসা নতুন মানুষটিকে। আমরা পাই মাহিরের দোলাচল। তার বিপন্নতা। পাই পুশকিনের একাকীত্ব ও নির্লিপ্তি। পাই ওর তাড়া করা অতীত থেকে মনে বাসা বাঁধা অনুতাপ।
আমরা পাই রাধিয়ার লাজুক নরম মনের ভেতর লালন করা ক্ষত। আর পাই কাজু ও পেখমকে। হারিয়ে যাওয়ার সময়ের হারিয়ে যাওয়া দুই মানুষকে। আর এদের সঙ্গে আমাদের সামনে আসে বিজন। আসে স্মরণ। আসে পরিতোষের মত অনেক চরিত্র। দুই সময়ের গল্পকে সাকোঁর মত ধরে রাখে নানান চরিত্ররা। সবার সঙ্গে সবার এক আবছা যোগাযোগে ধীরে ধীরে এক নতুন জীবনের ছবি মূর্ত হয়ে ওঠে. আর এই সবকিছুর সঙ্গে মিলেমিশে থাকে এই কলকাতা শহর. মিলেমিশে থাকে এর গ্রীষ্ম-বর্ষার গল্প। মিলেমিশে থাকে এই শহরের কষ্ট আর মন খারাপের অন্ধকারে বেঁচে থাকা জোনাকির মত মানুষদের গল্প।