-
মূল অনুবাদঃ মাওলানা আশরাফ আলী থানবী (রহঃ) বঙ্গানুবাদঃ আল্হাজ্জ মাওলানা ইউসুফ আলী খাঁন কলিকাতা ছাপায় মূল আরবীর বাঙ্গলা উচ্চারন ও অনুবাদ, সংক্ষিপ্ত তাফসির, শানেনুযূল ও প্রয়োজনীয় টীকাসহ ছহীহ নূরানী কোরআন শরীফ।
-
লেখক : বুদ্ধদেব গুহ বুদ্ধদেব গুহর ঋজুদার সঙ্গে পাঠকদের নতুন করে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার কিছু নেই। ছোট বড় সকলের প্রিয় চরিত্র ঋজুদা যেন লেখকেরই চরিত্রের প্রতিচ্ছবি। জঙ্গলকে ভালবাসেন ঋজুদা। ভালবাসেন জঙ্গলের অধিবাসীদের। তার দু পা বা চার পা যাই থাকুক না কেন। ঘৃণা করেন মানুষের অসততা কে। দ্বিচারিতা কে। প্রকৃতির বুকে তিনি অনেক স্বচ্ছন্দ। শহরে মানুষের চেয়ে তিনি তথাকথিত জঙ্গল বাসীদের আপন বলে মনে করেন। এই বইয়ে ঋজুদার অগ্রন্থিত দুটি নতুন কাহিনী। সঙ্গী বা স্যাটেলাইট চিরচেনা সেই ভটকাই।
-
লেখক : প্রচেত গুপ্ত মাটির দেওয়াল এক মায়া ভরা কাহিনী।রূপকথার মতো অথচ কঠিন বাস্তবের উপর দাঁড়িয়ে। শিক্ষিত আধুনিক পরিবারের স্বপ্ন আর সত্যের লড়াই যেন আত্মকেন্দ্রিক কেরিয়ার সর্বোচ্চ পৃথিবীর সামনে চ্যালেঞ্জ। মাটির দেওয়াল ঝামেলাহীন পরিবার কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার শিরীষ বড় ভাই চাকরিদাতা সোমদত্তা আর তাদের অতি বুদ্ধিমতি ইউনিভার্সিটি পড়ুয়া মেয়ে দোতারা। হঠাৎই দাদুর লিখে যাওয়া দলিল থেকে খানিকটা জমি পেয়ে গেল শিরীষ। জমি নেওয়ার ইচ্ছে ছিল না তার। ক্যারিয়ার এবং সম্পত্তি প্রিয় সোমদত্তা জোর করে তাকে সেই জমির দাম জেনে আসতে বলে। অনিচ্ছা সত্ত্বেও নাওডুবি নামের গ্রামে যায় শিরীষ। সন্ধ্যের ম্যাজিক আলোতে পড়ে থাকা রুক্ষ একখণ্ড জমি দেখে মন বদলে যায় শিরীষের। সে একটি গুরুতর সিদ্ধান্ত নেয়। সোমদত্তার সঙ্গে শুরু হয় তুমুল অশান্তি। নিজের সিদ্ধান্ত থেকে সরবে না বলে ঘোষণা করে। সেই মতো কাজও শুরু করে। মেয়ে দোতারা আপত্তি না করলেও বাবাকে আবেগ থেকে সরিয়ে যুক্তিতে ফেরাতে চেষ্টা করে। পারে না। সোমদত্তা ডিভোর্সের তোড়জোড় করে। মাটির দেয়ালের মতো ভেঙ্গে যেতে থাকে পরস্পরের বিশ্বাস। জীবন ও ঘটনাপ্রবাহ সেই দেওয়াল ঘিরে শুরু করে লুকোচুরি খেলা। এই কাহিনী শুধু ফেরবার কাহিনী নয়। শিকড়কে মহীরুহে পরিণত করবার কাহিনী। এক মায়ায় ভরা কাহিনী। পরতে পরতে যা রূপকথার মতো আচ্ছন্ন করে রাখে পাঠককে।
-
লেখক : বুদ্ধদেব গুহ জঙ্গলমহল আনন্দবাজার রবিবাসরীয় তে প্রকাশিত কয়েকটি মজার গল্পের সংকলন। শিকারের পটভূমিতে লেখা হলেও গল্পগুলি যতখানি শিকার সম্বন্ধীয় তার চেয়ে বেশি স্বীকার সম্বন্ধীয়। এই গল্পগুলিতে শিকারি কে নায়েক করা হয়নি বরং তাকে নিয়ে রঙ্গরসিকতা করা হয়েছে। বাংলা ভাষাতে ঠিক এ ধরনের লেখা সম্ভবত খুব বেশি লেখা হয়নি। জঙ্গলমহল জঙ্গলের কিছু কিছু মজার ঘটনা নিয়ে লেখা। বইটি লেখা হয়েছে কোন কোন মানুষকে নিয়ে। অবশ্যই বনজংগলের পটভূমিতে যাদের সঙ্গে পরিচয় এবং যাবতীয় লেনদেন। সেইসব মানুষের কেউ কেউ জঙ্গলমহল কেউ উপস্থিত আছেন।
-
বাছাই করা ভয় । প্রচেত গুপ্ত লেখকঃ প্রচেত গুপ্ত প্রচেত গুপ্ত এই সময়ের অন্যতম জনপ্রিয় গল্পকার। পাঠকদের এক নিঃশ্বাসে পড়িয়ে নেওয়ার মতো গল্প লিখতে জানেন তিনি। তার বিষয় বৈচিত্র চমকে দেয়। প্রেম্, হাসি, দুঃখের মতই , ভয়ের গল্পে তিনি সিদ্ধহস্ত, অভিনব। তাঁর ভয়ের গল্প একবারে অন্যরকম।বারবার পড়তে ইচ্ছে করে। তাই অজস্র গল্প থেকে বাছাই করে ২১টি বড়দের ভয়ের গল্প নিয়ে তৈরী এই সংকলন।
-
বাংলা সংস্কৃতিতে নবনীতা দেবসেন এক উজ্জ্বল জ্যোতিষ্ক। সাহিত্যের বিভিন্ন ক্ষেত্রে তার অদ্বিতীয় লেখনির সাবলীল সঞ্চার বাংলা সাহিত্যে নিঃসন্দেহে এক ব্যতিক্রমী ঘটনা। বুদ্ধিদীপ্ত বিদুষী মনের স্পর্শ, মরমি হ্দয়বেত্তা ,রচনা র প্রসাদ গুণ, শৈল্পিক নিরাসক্তি এবং সকৌতুকদৃষ্টিভঙ্গি-এতগুলি দুর্লভ গুনের সমৃদ্ধ নবনীতার সাহিত্য। অতিসম্প্রতি নবনীতা দেব সেন ইহলোক ত্যাগ করেছেন। বহুমুখী প্রতিভাধর অন্যতম এই কথাশিল্পীর এই বর্ণময় সংকলন একাধিক উপন্যাস, গল্প, অগ্রন্থিত প্রবন্ধ-রম্যসাহিত্য, দুষ্প্রাপ্য প্রবন্ধ-সাহিত্য, ভ্রমণ কাহিনী, স্মৃতিকথা, সাক্ষাৎকার ও নাটক দ্বারা সুসজ্জিত। নবনীতা দেবসেনের শেষ লেখায় উল্লেখিত এই বইটি তাঁরই পরিকল্পিত।