১৯৫২ সালের ২ থেকে ১২ ই অক্টোবর চীনের পিকিংয়ে এশীয় ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় আঞ্চলিক শান্তি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।  বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তান প্রতিনিধি দলের সদস্য হিসেবে সম্মেলনে যোগদানের উদ্দেশ্যে নয় চিন্তা  সফর করেন। আমার দেখা  নয়া চীন স্মৃতিনির্ভর ও ভ্রমণ কাহিনী রচনা করেন  ১৯৫৪ সালে কারাগারে বন্দি থাকাকালে।  সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ তাদের জীবনযাত্রা, অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসাসহ মৌলিক চাহিদাগুলো মিটাবার জন্য চীন সরকার বিপ্লবের পর কিভাবে উন্নতি করেছে এবং পরিবর্তন এনেছে মানুষের  আচরণে  তাও জানা যায়। তিনি শুধু সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন নাই, তিনি দেশকে খুব গভীরভাবে দেখেছেন। কৃষকের বাড়ি, শ্রমিকের বাড়ি, তাদের কর্মসংস্থান, জীবনমান  সবই তিনি দেখেছেন। ছোট ছোট শিশু ও ছাত্রছাত্রীদের গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করেছেন। শিশু বয়স থেকে দেশপ্রেম ও কর্তব্যবোধ জাগ্রত করার যে প্রচেষ্টা ও কর্মপন্থা তা অবলোকন করেছেন। তিনি মুক্ত মন নিয়ে যে ভ্রমণ করেছেন আবার তীক্ষ্ন দৃষ্টি দিয়ে পর্যবেক্ষণ করেছেন। প্রতিটি বিষয়ে গভীর দৃষ্টি দিয়ে দেখেছেন। গণচীনের শাসন ব্যবস্থা ও জীবন চিত্র তুলে ধরেছেন প্রাঞ্জল ভাষায়। এই গ্রন্থে বঙ্গবন্ধুর সাম্রাজ্যবাদী মনোভাব অসম্প্রদায়িক ভাবাদর্শ ও বাঙালি জাতীয়তাবাদের চেতনা গভীর পরিচয় মিলে।