Indubala Bhater Hotel : Kallol Lahiri

Description

ইন্দুবালা ভাতের হোটেল []

ছিল এক বাংলা । কেটে করা হল দুই বাংলা । সীমান্তে কাঁটাতার পাসপোর্ট ভিসা যতই হোক অঞ্চল ভিত্তিক বাংলার খাদ্যস্বাদতো আর বদলায় না। খুলনার সুস্বাদু নানা রকম ভর্তা স্বাদের টানে কলকাতার ছেনু মিত্তির লেনে ইন্দুবালা ভাতের হোটেলের সুনাম ছড়ায়, জমে ওঠে হোটেল। বড় হয়ে মাকে ছেড়ে যায় ইন্দুবালার দুই পুত্র এক মেয়ে। তবে বয়স সত্বর ছুই ছুই করলেও তার ভাতের হোটেল ছাড়েনা ইন্দুবালা। বয়সের ক্লান্তির সঙ্গে যুদ্ধ করে ইন্দুবালা টিকে থাকে। তার হোটেলে এত রকম ভর্তা হয় শুধু হয়না কুমড়ো ভর্তা। তার বড় ছেলের প্রথম সন্তান নাতনী খুব পছন্দ করতো। তার যাওয়ার পর থেকে সেই ভর্তা করা ইন্দু বন্ধ করে দিয়েছে। আজ এক দুপুরে ইন্দু ক্লান্ত হাতে বড়ার জন্যে বেসন গুলছে। তখনি ছেড়া জিন্স লাল টি শার্ট মাথার অর্ধেক চুল লম্বাই আছে বাকিটা ছোট্ট করে কাটা এক পরীর মত মেয়ে ব্যাগ লাগেজ নিয়ে ঢুকলো টেক্সী ছেড়ে ইন্দুবালা ভাতের হোটেলে। তাকে দেখে খেতে বসা সবার হাত থেমে গেলো।
মেয়েটি চিৎকার করে বলে উঠলো – ঠাম্মী,আমি তোমার বড় নাতনী আমেরিকা থেকে সোজা তোমার সঙ্গে থাকতে এসেছি!  থাকতে দেবে আমাকে?..

এরপরেই ‘ইন্দুবালা ভাতের হোটেল’ উপন্যাসটি বদলাতে শুরু করে নিজ মহিমায়।

About Author

কল্লোল লাহিড়ী []

ইন্দুবালা সুন্দরী দৃঢ়চেতা খুলনার কলাপোতা গ্রামের মেয়ে। সহপাঠী মনুরুল কে তার ভালো লাগে।ভালোবাসার কথা পরস্পর বলার আগেই সেই বাংলাদেশ স্বধীন হওয়ার আগেই এক স্কুল মাস্টার ছদ্মবেশী জুয়াড়ী মদ্যপের সঙ্গে বিয়ে হয়ে কলকাতার ছেনু মিত্তির লেনে চলে আসে ইন্দু। তিন সন্তান রেখে জুয়াড়ী স্বামী মারা যেতে জীবন বাঁচাতে ঘটনাচক্রে খোলে ইন্দুবালা ভাতের হোটেল। এরপরই উপন্যাসটির মনমুগ্ধকর ঘটনা শুরু হয়।

লেখক কল্লোল লাহিড়ী মূলত চলচ্চিত্র বিষয়ে অধ্যাপক নিজেই ফিল্ম বানান তাই তার লেখা গতি দ্রুত ও টানটান,চরিত্র নির্মাণেও অপূর্ব।